কিছুদিন আগেই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র তার চওড়া বাহুবল নিয়ে ঘোষণা করল ভোটের পরিনাম। তার পরেই এল বাজেট। একটি ছায়াছবির দুটি টানটান দৃশ্য একে ওপরের পর। জনগনের জন্য এই ছবিটির দ্বিতীয় দৃশ্যটি নবায়নযোগ্য উর্যা ও তৎকালীন অর্থনীতির কি কোনো যোগাযোগ স্থাপন করল? চলুন আমরা চট করে দ্বিতীয় দৃশ্যটি দেখে আসি।
ফ্ল্যাশ ব্যাকে আমরা দেখতে পাচ্ছি একটি কেন্দ্রীয় ঘোষণা, যেখানে বলা হচ্ছে যে ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতীয় জিডিপি ৫ ট্রিলীয়ন ডলার মূল্য ছুতে চলেছে। খুব সহজেই দৃশ্যটির এই খাঁচাটি আমাদের মনে একটি মধুর ভবিষ্যতের অবয়ব সৃষ্টি করে। সেটি আরো গভীর হয় যখন আমরা জানতে পারি যে আমাদের মধ্যবিত্ত আশাগুলোকে সরকার সাজিয়ে তুলছে আরো বেশি সহজে নতুন বাড়ি, পথ, বিভিন্ন যোগাযোগ আর যোগান ভিত্তিক প্রকল্পের মাধ্যমে। একটি ধীরে চলা অর্থনীতির, আর্থসামাজিক স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে দরকার - যোগান সৃষ্টি করা, প্রকল্প তৈরী করা, ধনীদের থেকে কর নিয়ে নতুন প্রকল্প করা, মধ্যবিত্তদের সহজ সুদে ছাড়মুক্ত ভাবে ঋণ দিয়ে বাড়ি কিনতে বলা। এই বাজেট সেটি করেছে। আমাদের বলা হয়েছে যে এই স্বপ্ন বেচে থাকবে বিদেশ থেকে আরো সহজে ঋণ নিয়ে, ব্যাংক গুলো তে আরো টাকা ঢেলে যাতে তারা ননপারফরমিং এ্যাসেট নামক ব্যধিটির হাত থেকে রেহাই পেতে পারে। টাকার এই সূচি প্রয়োগ রাজশ্ম ঘাটতিকে কখনই গ্রস ডোমেষ্টিক উৎপাদনের ৩.৩% এর বেশি বাড়তে দেবে না যতই চাহিদা বা উৎপাদন বাড়ুক। এই প্রতিশ্রুতি ও দেওয়া হয়েছে। এতদূর অবধি সবকিছু খুব মধুর। কিন্তু হঠাৎ মনে সংশয় হল? কি সেই সংশয়? এই চাহিদা যত বাড়বে, বিদ্যুতের
চাহিদা বাড়বে। তার ওপর সরকার বৈদ্যুতিক
গাড়ির ওপর ও কর কমিয়ে দিয়েছে। সেত আর বাড়িয়ে দেবে বিদ্যুতের চাহিদা। কোথা থেকে আসবে এই নতুন বিদ্যুত
। নবায়নযোগ্য উর্যা থেকে না প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে। ২১০০০ মেগাওয়াট উর্যা প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে আসার কথা।কিন্ত তার মধ্যে ১৪০০০ মেগাওয়াট তো ননপারফরমিং এ্যাসেট (এনপিএ) হয়ে পড়ে আছে।বাকি উর্যাশক্তি তার সম্পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে চলতে পারছে না। তাই আরো বাড়ছে এনপিএ। এই লোকসান ধরা এবং দেখা দিচ্ছে "গেল" এর মতো সংন্থার মার্কেটিং আর ডিস্রট্রিবুসন মার্জিনে।
তাহলে এই বিদ্যুত কি সৌরশক্তি থেকে আসবে।সেখানেও তো এক ব্যধি এসে পড়েছে। ১০০ গিগাওয়াট সৌরশক্তি দ্ধারা চাহিদা মেটাবার লক্ষ্ম্যতে ও তো একই ব্যধির ভাটা। ১০০ র মধ্যপথেও আমরা পৌছাতে পারিনি। তার মানে এই বাজেটের সপ্ন পরিপূরণ মানে আরো কয়লা জালানো ২০২৫ অবধি - যখন আমরা ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌছব। তার মানে কি আরো দূষণ আমাদের মাথায়, হ্নদয় আর ঝাপসা নিলয়ে।
হঠাৎ করে সপ্নের অবয়ব ভেঙে যায় আর কবির সুমনের গানের কিছু লাইন প্রথম দুটি দৃশ্যের
জায়গায় ভেসে ওঠে।লাইনগুলি হল - "এই যে দেখছি আবছায়া টাই লাগছে ভালো, ঘরের কোনে একটি মাত্র মোমের আলো, কার তাতে কি আমরা যদি এই আকালে ও স্বপ্ন দেখি"
ফ্ল্যাশ ব্যাকে আমরা দেখতে পাচ্ছি একটি কেন্দ্রীয় ঘোষণা, যেখানে বলা হচ্ছে যে ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতীয় জিডিপি ৫ ট্রিলীয়ন ডলার মূল্য ছুতে চলেছে। খুব সহজেই দৃশ্যটির এই খাঁচাটি আমাদের মনে একটি মধুর ভবিষ্যতের অবয়ব সৃষ্টি করে। সেটি আরো গভীর হয় যখন আমরা জানতে পারি যে আমাদের মধ্যবিত্ত আশাগুলোকে সরকার সাজিয়ে তুলছে আরো বেশি সহজে নতুন বাড়ি, পথ, বিভিন্ন যোগাযোগ আর যোগান ভিত্তিক প্রকল্পের মাধ্যমে। একটি ধীরে চলা অর্থনীতির, আর্থসামাজিক স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে দরকার - যোগান সৃষ্টি করা, প্রকল্প তৈরী করা, ধনীদের থেকে কর নিয়ে নতুন প্রকল্প করা, মধ্যবিত্তদের সহজ সুদে ছাড়মুক্ত ভাবে ঋণ দিয়ে বাড়ি কিনতে বলা। এই বাজেট সেটি করেছে। আমাদের বলা হয়েছে যে এই স্বপ্ন বেচে থাকবে বিদেশ থেকে আরো সহজে ঋণ নিয়ে, ব্যাংক গুলো তে আরো টাকা ঢেলে যাতে তারা ননপারফরমিং এ্যাসেট নামক ব্যধিটির হাত থেকে রেহাই পেতে পারে। টাকার এই সূচি প্রয়োগ রাজশ্ম ঘাটতিকে কখনই গ্রস ডোমেষ্টিক উৎপাদনের ৩.৩% এর বেশি বাড়তে দেবে না যতই চাহিদা বা উৎপাদন বাড়ুক। এই প্রতিশ্রুতি ও দেওয়া হয়েছে। এতদূর অবধি সবকিছু খুব মধুর। কিন্তু হঠাৎ মনে সংশয় হল? কি সেই সংশয়? এই চাহিদা যত বাড়বে, বিদ্যুতের
গাড়ির ওপর ও কর কমিয়ে দিয়েছে। সেত আর বাড়িয়ে দেবে বিদ্যুতের চাহিদা। কোথা থেকে আসবে এই নতুন বিদ্যুত
তাহলে এই বিদ্যুত কি সৌরশক্তি থেকে আসবে।সেখানেও তো এক ব্যধি এসে পড়েছে। ১০০ গিগাওয়াট সৌরশক্তি দ্ধারা চাহিদা মেটাবার লক্ষ্ম্যতে ও তো একই ব্যধির ভাটা। ১০০ র মধ্যপথেও আমরা পৌছাতে পারিনি। তার মানে এই বাজেটের সপ্ন পরিপূরণ মানে আরো কয়লা জালানো ২০২৫ অবধি - যখন আমরা ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌছব। তার মানে কি আরো দূষণ আমাদের মাথায়, হ্নদয় আর ঝাপসা নিলয়ে।
হঠাৎ করে সপ্নের অবয়ব ভেঙে যায় আর কবির সুমনের গানের কিছু লাইন প্রথম দুটি দৃশ্যের
No comments:
Post a Comment