অভাব ঠিক কি ভাবে ব্যবহারিক অর্থনীতির সাথে মিশে গিয়ে "স্থায়িত্বের অর্থনীতি" র জন্ম দেয়। অভাব যদি চাপ সৃষ্টি করে, তাহলে সেই চাপ থেকে একজন মানুষ আর ভঙ্গুর হয়ে উঠতে পারে। সেই ভঙ্গুরতা মানুষের সিদ্ধান্ত গুলোকে আর "Irrational" করে তুলতে পারে। সেই "Irrationality" থেকে সিদ্ধান্ত গুলোতে "Biases" আসতে পারে। যেই Bias কিনা "Conformation Bias" এ ভরে থাকতে পারে। অর্থাৎ আমি কিনা সেই ঘটনা গুলোকেই মনে রাখবো যেটা আমি মনে রাখতে চাই। এবং আমার ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত গুলো সেই দারা পরিচালিত হবে। আজকের "Sustainability Crisis" এর যুগে এখান থেকেই অস্থিরতার জন্ম হতে পারে।
একটি উদাহরণ দিয়ে এই বিষয় টিকে আর গভীরে বিবরণ দেয়া প্রয়োজন। ধরা যাক, অমিতাভ বচ্চন আর শশী কাপুর এর deewar ছবিটা। গল্পটা সবার জানা। দুই ভাই, কিভাবে দারিদ্র্যর মধ্যে দিয়ে যায়। সমাজ তাঁদের দুজনকেই বঞ্চনা দেয়। কিন্তু, এক ভাই মনে রাখে সমাজ কিভাবে তাঁর বাবাকে চোর বলেছিল, আরেক ভাই সেই সামাজিক চাপ থাকা সত্ত্বেও হয়ে ওঠে পুলিশ, সমাজ সংস্কার করার জন্য। একই ঘরে দুই ভাই সমাজের, দারিদ্র্যের চাপে বড় হয়। কিন্তু তাঁদের "Conformation Bias" সমাজ কে আর তাঁদের ছোটবেলার ঘটনাগুলোকে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহারিক অর্থনীতির এক নির্দিষ্ট দূরবীন দিয়ে দেখতে সাহায্য করে। একজন হয়ে ওঠে "ক্রিমিনাল/আসামি" আরেকজন হয়ে ওঠে "পুলিশ"। একজন সমাজ কে রক্ষা করার দায়িত্ব নেয় আরেকজন সমাজ কে দেখিয়ে দেয় যে সমাজ তাকে কি দেয়নি। এবং সে কুড়িয়ে পয়সা না নিয়ে সমাজ কে তাঁর উচ্চবিত্ত হওয়ার অহং দেখায়। খানিকটা সমাজের থেকে অজান্তেই ছিনিয়ে নিয়ে বদলা নেওয়ার তাগিদে। কিন্তু এই ভাই কি আসলে বেশি "Vulnerable" চাপের কাছে। তাই সে তাঁর সমস্ত ইচ্ছে কে বিসর্জন দিয়ে এই সমাজকে প্রমাণ করার তাগিদে মেতে ওঠে। তারপর নিজেকে হারিয়ে ফেলে। হয়ে ওঠে "ক্রিমিনাল"। ভোগ বাদী, বিলাসী সত্য হয়ে ওঠে তাঁর এক অকৃত্রিম বন্ধু। ধীরে ধীরে স্থায়িত্ব ছেড়ে চাপের মুখে ভঙ্গুর এই মানুষটি এমন সব সিদ্ধান্ত নেয় যা তাঁর নয়। সেটা শুধুই সমাজকে কিছু বলবার জন্য তার "Conformation Bias" থেকে। স্থায়িত্বের অর্থনীতি ব্যবহারিক অর্থনীতির কাছে হেরে যায় আস্তে আস্তে। প্রশ্ন হচ্ছে যে এটা কি শুধুই "Deewar" এর কাহিনী না ভারতের, পশ্চিম বাংলার মধ্যবিত্তের, নিম্ন মধ্যবিত্তের কাহিনী?
No comments:
Post a Comment