Thursday, October 31, 2024

"কনসিলিয়েন্স" (Consilience) - একটি জরুরী বিতর্ক

 "কনসিলিয়েন্স" (Consilience) - একটি জরুরী বিতর্ক


আনন্দজিৎ গোস্বামী 



এডওয়ার্ড ও উইলসন কনসিলিয়েন্স শব্দটির মাধ্যমে এক অচেনা জগতে নিয়ে গেলেন। আমাদের এক কক্ষপথে পৌঁছে দিলেন যেখানে সমাজ বিজ্ঞান, প্রকৃতি বিজ্ঞান, ধর্ম, নীতি এক অমোঘ সুতোয় ধরা দিল। সত্যি কি এরকম হয় যে সমস্ত সামাজিক, ঐতিহাসিক ঘটনাকে প্রকৃতি বিজ্ঞান এর আধারে "কজ" আর "ইফেক্ট" এর মাধ্যমে ধরা যায়? তাহলে সমস্ত কিছুকেই ভৌত বিজ্ঞান এর সংজ্ঞা ধরে বোঝার চেষ্টাই কি "কন্সিলিয়েন্স"!

এই কন্সিলিয়েন্স কে সম্বল করেই কি আমরা তবে বুঝতে পারব কেন যুদ্ধ হয়, কেন কোন ধর্মের প্রচার হয়, কেন মানুষ ধর্মান্ধ হয় বা কেন কোন ধর্মের পতন হওয়ার পর আরেকটা ধর্মের জন্ম হয়। প্রকৃতির কজ আর ইফেক্ট অনুযায়ী কি জীবন মৃত্যুর মত যুদ্ধ, ধর্ম, হিংসা, বাদ বিবাদ বেড়ে ওঠে, বড় হয় আর তারপর তার মৃত্যু হয়।

সমাজ বিজ্ঞান ও অন্যান্য বিজ্ঞানীদের দর্শনে প্রকৃতি বিজ্ঞান এর মাধ্যমে সমাজ কে এই ভাবে দেখতে অসুবিধা হতে পারে। কারণ আমাদের কোন কিছুর দেখার দর্শনে দুধরনের চোখ তৈরী হতে পারে। একটি চোখ যা আমাদের "এমপিরিকাল এথিক্স" দিয়ে জীবন কে দেখতে বলে। অন্য চোখটি আমাদের "Transcendental এথিক্স" দিয়ে জীবনের ঘটনাকে দেখতে বলে। ইমানুয়েল কান্ত বলেছেন যে এথিক্স প্রাকৃতিক কজ আর ইফেক্ট এর বাইরে গিয়ে পরিশীলিত হয় মানব অন্তরে। সেই অন্তরে মানুষ নিজের বোধ, ধর্ম, জ্ঞান, এথিক্স এর নির্মাণ করে যা কজ আর ইফেক্ট এর বাইরে বাস করে। প্রতিটি মানুষ তার নিজের মতো করে, নিজের জীবন রাজনীতি দিয়ে গড়ে তোলে "এমপিরিকাল এথিক্স"। সেই এমপিরিকাল এথিক্স এর দুনিয়াতে কান্ত এর হাত ধরে কোন মানুষ ন্যাচারাল এথিক্স কে অতিক্রম করে হয়ে উঠতে পারে ধর্ম বিরোধী, ধর্ম ভীরু, ফ্যাসিস্ট, হিটলার, পুতিন, জেলেনস্কি, বা অন্য কেউ। প্রাকৃতিক বিজ্ঞান এর কজ আর ইফেক্ট আর জীবন, মৃত্যুর স্বাভাবিক যাত্রা অনেক সময়তেই এই ভাবে এথিক্স কে ধরতে পারে না। এখানেই কনসিলিয়েন্স এর সাথেই একটা দ্বন্দ শুরু হয়।

এই দ্বন্দ মানব সভ্যতার সাথেই বেড়ে উঠেছে। তাই দেখা যায় যে আমেরিকাতে ও আজ ১৫ লাখ ব্যাপটিস্ট সদস্য আছে যারা বাইবেল ও তাঁর বিভিন্ন প্রকার বিশ্লেষণ নিয়ে কাজ করছে। সেই আমেরিকাতেই আমেরিকান হিউম্যান এসোসিয়েশন সংস্থাতে শুধু মাত্র ৫ হাজার মানুষ সদস্য কাজ করছেন। এই সংস্থাটি কন্সিলিয়েন্স এর প্রতি নিবেদিত এবং বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়াতে মানব জীবনের পরিক্রমাকে দেখার চেষ্টা করে চলেছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই সংস্থাটিতে এত কম সদস্য কেন যখন সেই দেশেই ১৫ লাখ সদস্য বাইবেল চর্চা করছে। তার মানে কি ধর্মের শক্তি এতটাই প্রকট যে তার সামনে বিজ্ঞান ও কন্সিলিয়েন্স এর প্রকোপ কম হয়ে যায়। যেখানে বিজ্ঞান ও কন্সিলিয়েন্স এর শেষ, সেখান থেকেই কি ধর্মের শুরু? 

ইতিহাস দেখায় যে, রাষ্ট্র, স্টেট এর সাথেই ধর্মের প্রসারণের যাত্রা শুরু। কখন সেটি হয়েছে চার্চ এর হাত ধরে বা কখন colonialism, imperialism এর হাতে খড়ি নিয়ে। ধর্ম এক একটি সংস্থান এর সৃষ্টি পথ ধরে জন্ম দিয়েছে হিংসার এবং তারা তারপর হয়ে উঠেছে একটা গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের। সেখান থেকেই এসেছে সাম্প্রদায়িকতা , cult আর মিথ এর হাত ধরে। ধর্ম সাম্প্রদায়িক হয়ে ওঠার আগে মানুষের মধ্যে থেকে জাগতিক হয়েছে cult আর মিথ এক একটি মানুষ ঘিরে যিনি কিনা হয়ে উঠেছেন ধর্মের ধারক ও বাহক। মানুষরা এই cult আর মিথ কে মেনে নিয়েছে তাদের ধারক হিসেবে। এইখানে কনসিলিয়েন্স এর দূরবীন দিয়ে দেখলে চোখে পরে যে মানুষ cult বা myth কে মেনে নিয়েছে একটা বায়োনিউরোলজিকাল কারণে। প্রত্যেক মানুষের মানা না মানার পেছনে কাজ করে তার বায়োনিউরোলজিকাল চেতনা। সেখান থেকেই জন্ম হয় মানুষটি কাকে বিশ্বাস করবে, কি করবে। তাই কেন কোন মানুষ cult বা myth হবে তাঁর পেছনে পরোক্ষে রয়েছে বায়োনিউরোলজি। 

সেই cult সত্তা থেকে বেরিয়ে যখন ধর্মকে সবার বা সর্ব বিরাজমান করা হয় তখন যে সেটা করে, বা বলে তাকে পোহাতে হয় কষ্ট, ঝক্কি। তাই স্পিনোজাকেও পালিয়ে বেড়াতে হয়েছিল তাঁর প্রাণের দায়ে। নাহলে চার্চ নিয়ে নিতো তার প্রাণ।

এই রক্ত লীলা আজ চলেছে এবং চলবে। ভবিষ্যতে তাই লড়াই হবে কিভাবে consilience এর মাধ্যমে ধর্মকে সেক্যুলার, Humanise করা যায় Transcendental আর Empirical এথিক্স এর মাধ্যমে। আজকে দাঁড়িয়ে তাই কনজারভেশন এথিক্স এর সময় পড়েছে আজকের "Erezomoic Era" বা "Age of Loneliness" এর সময়তে। কোনো একটা সময় আসতে চলেছে যখন

“Genetics”  বলবে যে ভবিষ্যতে ধর্ম কোন দিকে যাবে। এক ধর্মের প্রচারক কি "জেনেটিক্স" এর মাধ্যমে বেছে নেবে তাঁদের মতন ভবিষ্যতের সম্প্রদায়কে। প্রত্যেকটি ধর্মের মানুষ আজ একই সাথে নিজ ধর্মের প্রচারক আবার একাকী ও একই সাথে। কারণ এটাই একাকীত্বের সময় "Erezomic Era" তে বেঁচে থাকার নিয়ম। সেই একাকীত্ব কাটাবার জন্য এক এক ধর্মের সম্প্রদায় বেছে নিতে পারে তাঁদের চেতনা বহন কারী মানব সমাজ কে এক নতুন জেনেটিক বিপ্লবের মাধ্যমে। সেই ভবিষ্যত কি আদৌ "Ethical Conservation" এর দিকে আমাদের নিয়ে যাবে। নাকি আর বাড়াবে হানাহানি, যুদ্ধ, সাম্প্রদায়িকতা। এর সঠিক কোনো উত্তর অব্শ্যই নেই আজকের দিনে দাঁড়িয়ে। কিন্তু ভয়াবহ এক ভবিষ্যত আসতেই পারে। সেই ভয়াবহতা কে কাটাবার জন্যই আর বেশি করে দরকার "Consilience"  সত্তার আমাদের চিন্তন প্রক্রিয়াতে। সেই সত্তার মূল নির্ধারণ হওয়া উচিত “Ethical Conservationism” দিয়ে। সেই conservationism এর মধ্যে দিয়ে অবশ্যই আমাদের  সাত্রের "absolute individual existentialism" এর উপরে উঠে দাড়াতে হবে। ভাবতে হবে কি করে ওর উপরে উঠে আমরা একটি "Collective" সত্তার  দিকে এগিয়ে যেতে Bhabte hobe পারি এই “Erezmoic Era” তে। জেনেটিক বিবর্তন অবশ্যই ঘটবে।  মানুষের কাছে "genetic engineering" এর প্রযুক্তি খুব শীঘ্রই চলে আসবে। সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ বেছে নেবে একই সত্তায় বিশ্বাসী পরবর্তী প্রজন্ম। "Erezmoic Era" এই প্রক্রিয়ার জন্ম দেবে। E হবে এক অদ্ভুত জেনেটিক সিলেকশন যা বদলাবে darwin er natural selection কে। কিন্তু এই পৃথিবী যদি সবচেয়ে সুন্দর নীল গোলাকার ধরিত্রী হয় মানুষের কাছে এবং মানুষ যদি না ভাবে যে সে অন্য কোন একই রকম ধরিত্রী তে খুব শিগগিরই বাস করতে পারবে, তাহলে নিজের বাঁচার তাগিদেই  “collective consciousness” এর কাছে মানুষকে পৌঁছতে হবে। সেই পৌঁছনোর রাস্তায় consilience কে সাথে নিয়ে মানুষকে চলতে হবে সাত্রের ' individual existentialism" এর উর্দ্ধে উঠে। তবেই সময়, পৃথিবী, মানব সভ্যতা বিনা রক্তপাতে এগিয়ে চলতে পারবে। এর নির্ভুল উত্তর আজকে দাঁড়িয়ে একদমই নেই। হয়তো সময়ের ওপর আমাদের এই সবকিছু কে ছেড়ে দিতে হবে।


হয়তো কোনো একদিন একমাত্র সময় বলতে পারবে এডওয়ার্ড ও উইলসন তাঁর বই "কনসিলিয়েন্স" এ কতটা সময়কে ধরতে পেরেছেন বা পারবেন মানব সভ্যতার ইতিহাসের পাতায়। ঠিক সেই সময় এবং মুহূর্ত অবধি অপেক্ষা করে থাকাটাই আমাদের পক্ষে শ্রেয় হবে।

Thursday, October 10, 2024

স্মৃতি কাঁটা

 ঠিক কোন সময় একটা স্মৃতির মৃত্যু হয়?

যখন শব্দগুলো রূপক হারায়।

ঠিক কোন সময় একটা স্মৃতির মৃত্যু হয়?

যখন আমাদের মর্মস্থলে হাত হাতড়ায়।

স্মৃতির মৃত্যু ঠিক কখন হয়?

যখন লেগে থাকা কাঁটা আর তার রক্তময়।

বয়ে যায় রক্ত নালায় নালায়,

নতুন শিশু শুধুই মৃত্যুর পাঞ্জায়।

ঠিক কোন সময় একটা স্মৃতির মৃত্যু হয়?

যখন টাঙিয়ে রাখা পাঞ্জাবিতে চুল পাওয়া না যায়।

ঠিক কোন সময় একটা স্মৃতির মৃত্যু হয়?

যখন লক্ষ্য কোটি বছর পর সূর্য নিভে যায়।

তখন এক ঠান্ডা চাঁদ আর কয়লা পৃথিবী,

সব শব্দ কয়লাময় জীবন প্রতিচ্ছবি।

হঠাৎ কিছু শব্দ আসে,

বলে,

স্মৃতির মৃত্যু ঘটছে আসে পাশে।

তারপর তাঁরা হয়ে ওঠে আগুন,

সূর্য জ্বলে ওঠে শতগুণ।

সে জেগে ওঠে চোরাবালি থেকে,

মৃত স্মৃতি বাঁচে মগজের ফাঁকে।

ঠিক তখনই এক স্মৃতির জন্ম,

মৃত্যু কাঁটা পেড়িয়ে বাচাই তার ধর্ম কর্ম।


শুভ অষ্টমী 

11/10/2024

১১/১০/২০২৪



Wednesday, October 9, 2024

সপ্তমী ওয়ালেট

ভাড়া করা ক্যাপ গুলো দৌড়তো এই দিনে
সময়টা ব্যাকপাস করে যায় ভুল গুণে 
সন্ধ্যার আলোতে দৌড় দেওয়া ফুটপাথে 
এগরোল আর পামপ্লেট এক সাথে 
কলকাতার মোড় গুলো কে হেঁটে হেঁটে 
ধরার ছোঁয়া ঘামে ঘামে খেতে খেটে 
সপ্তমীর ঢাক নাটক গান 
লুকিয়ে রঙ্গিলার সমূদ্র স্নান 
ছোট ছোট পাড়ার খাতায় 
মুহূর্ত গুলো সবুজ পাতায় 
ফরোয়ার্ড ফুটবল পাসে খোঁজে 
আরেকটা কেনা ক্যাপ আজকের "ওয়ালেট" ভাজে।

শুভ সপ্তমী 

Saturday, October 5, 2024

A Suitcase In The Dream - Shortest Story

 A suitcase called and marked "Elegance" is what he used to carry whenever he would travel. The upper part of the suitcase had his visiting cards with his name, designation. Then, one day, he passed away and the suitcase changed hands to be the travel companion of his son. The visiting cards were all kept intact in all the travel of his son in the suitcase. 

The suitcase, visiting cards moved on with the son. On one day, then suddenly, the son was traveling on a train with the suitcase. The suitcase was waiting at the station to travel in the train from New Delhi to Kolkata where the father used to stay. The train started on time while the son was busy buying a tea at station stall. The train picked up the speed. The son had no time to think about the waiting suitcase anymore. He ran fast to board the moving train. He got up into the train but "Elegance" stayed on the platform. The father's visiting cards of the last travel were seperated too from the son. The train picked up, accelerated, while "Elegance", "Suitcase" were being seperated and getting distant from the son. The son stood on the bogey gate and was anxiously looking back onto the platform with a choking, seperated feeling. The claustrophobia created a pressure on the chest.


Suddenly an alarm rang! The son got up from the dream. It was 8.00 am and he had to rush to the airport for an official travel. He looked around and saw it. Yes, "Elegance" with the father's visiting cards was standing tall on his four legs and fully ready to go for the official travel of the son!

Wednesday, October 2, 2024

Where Barters' Dare!

 "Where Barters' Dare"


October 2, is a day celebrated as the birthday of "Bapu" , "The Father" , a being who evolved with the imperfections of a being towards the soul of a country to be a nation. A nation with a diversity of unique imperfections which can be celebratory in nature. This same day and time highlights the beginning of a lunar cycle which marks the continuity of beginning and end of mortal life forms through mortal agents and mediums. Every year, therefore during this time, I have to go back to the ground, roots to nurture their life forms with what they need most - "Just a food to grow". 


This year was not an exception but in addition I met the same person on the footpath of New Delhi who almost 21 years back had fed me with food to grow while today I was distributing food coupons to footpath dwellers. The time was sometime in May 2003 and I had performed in Lok Kala Manch for a one and half hour musical theatre with no break. 


I was hungry, thirsty but only had two single notes in the pocket with no wallet.The real ego and ego real state doesn't exist only in a rich or in the one who has the paper in the wallet or the numbers in the digital account. It stays in a student too who is ambitious, giving best but then realises that generally the concept of the paper is always about power asymmetry. From that ego, the dare to not eat or resist hunger is born even when you are hungry after a show. Hence in such a state, the performer with real ego and ego real condition only looks onto the footpath dhaba, looks at the others eating but can't eat for himself. However 21 years back, one person could see that and asked me to sit on the street side and eat two aloo paranthas, sabzi with onion and cucumber. He didn't take any money in return. No barter or exchange happened. He calmed my real ego hunger. Today, 21 years down the line when I went to the same place, he immediately recognised me while I was giving food coupons to people. He came forward and arranged a table and a chair for me. He cleaned the same steel utensils of the past of memories, served me with a roti, sabzi, daal and wanted to immediately make parantha for me. He didn't take money even today as he didn't during May 2003. I couldn't see his mother today who also used to be there with him at the street stall. Post Covid, I get anxious to ask this question - "Where is your close family member to most street dwellers whenever I meet them?". I was hesitant to ask but still asked - "Where is your mother?"


Bhaiyya of the food stall first responded that - "Bhaiyya Khana Khaiye Sirf, Mujhe Paisa Nahi Chahiye, Daal Aur Du!" He was not responding to my question. I was getting tensed. Finally he responded - "Mummy America Gayi Hai With A Smile".


I truly felt today I was at a place again after 21 years - "Where Barters' Dare?"


Tuesday, September 3, 2024

মেঘের আশ্রয়

 মেঘের কাছে জল জমেছে

জল কি আশ্রিত তাঁর কাছে

নাকি জল আশ্রয় দিয়েছে

 বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে চোখে চোখে

বর্ষার মাঝে সমব্যথী মুখে

মুখে মুখরিত স্লোগান

আরজি কর এর গান

মেঘ অগত্যা পেল রাস্তায় ঝরে পড়ার টান

নীল, সাদা, কালো, রং বেরঙ হওয়ার কলতান।

Thursday, August 29, 2024

To Be Or Not To Be - "A Green Day"

 

Francis Beacon had once said that to know the nature outside, we need to know the nature within. As a child, the quest to know the nature outside started with the thirst to know the nature within. While the nature within was lost in multiple conflicts of gene, nature, culture, conditioning, hereditarianism, a view outside towards nature got me back to within. It often happened, that when the answers of nature within were not available, I got the same answers in the green fields of West Bengal while travelling to Krishnanagar, Durgapur, Mogra away from Kolkata.

Every journey of mine in a train, away from Kolkata was actually bringing me near to the nature within while being positioned in the larger frame of the nature outside. The journey from Kolkata was therefore not a journey from the refugee homes of the city but was being more close to the nature within and outside.

Each such interaction of the nature within and outside through my travel to the rural villages, towns and suburbs away from Kolkata was like a – “A Green Day”.  The emotions of rage, despair, anguish, hope, anxiety, light would all get mixed up to reach to a tunnel end after a spiritual death through these pathways to the rural society. Urban society was quite synonymous to me as a “A Grey Day”.

However, on some days of monsoon or April stuck by Norwesters, my Grey Days of the City Living would become “A Green Day” when I would plunge to ponds, muds after football matches amidst high storm and rainfall. I could see the muddy color of my despair, feeling of exclusion from the city privileges, elitism being driven away by the muds of the monsoon football grounds of the refugee space and habitation where I grew up.

Often, I would do that in the middle of the football grounds within the TB Hospital Campus of Jadavpur of 80s and early 90s which had the humans and pigs playing together on the football ground amidst the mud. Orwell’s “Animal Farm” was not applicable in those days of my childhood as in that Animal Ground, humans and pigs had no hierarchy. They all would equally enjoy muds, smell of grass, monsoon rains, cuts and bruises of life and body together. Truly, the rage and despair would get converted to “A Green Day” in those days while playing together with pigs on the football ground of the TB Hospital Campus at Jadavpur. Then, one day, after leaving Kolkata and facing the city space of Delhi when I had a cultural realization of the space within me, I found out that the nature within me was – “A Green Day”. Such a Green Day was facing the threat of extinction from the perils of human induced impacts of climate change. I had no other way but to join people who equally had found out “A Green Day” within themselves just like me through nature. I had to fight the threat of extinction from the perils of human induced impacts of climate change to safeguard the nature within me from becoming extinct, and a living fossil. There was no other way but to collaborate with my Co-Editors, Co-Authors of The Book – “A Green Day” published by Hachette India and represented by The Book Bakers. I found out the same nature within and outside in – Mr. Jeevesh Gupta and Mr. Chittaranjan Dubey.

The rage, despair, hope of within expanded and extended its arms and joined hands with many across the world and gradually the chapters of the book “A Green Day” were born with the stewarding guidance and support of the other two co-editors too. The journey of the book “A Green Day” has just begun as it is a journey of a child to protect the nature within to see the nature outside and both are mutually co-existing. This voice will only multiply in future and will counter question every inner voice which often arises from our existential dilemmas of life saying – “Why do we need to protect this nature inside to see the nature outside or vice versa”?

Hence – “A Green Day” is not just merely a book that I was part off starting from the inception to publication but it has been an attempt to create a process of winning the doubt that arises everytime, everyday which often tells us that – “You should give up protecting the nature within and just be with the flow as anyways you might loose it being too little in the larger scheme of things”!

A Green Day is therefore an attempt to represent the voice of all such citizens and individuals who are fighting and conquering such a doubt everyday from waking up till they go to bed to sleep!